জন্মনিবন্ধন: একটি গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক অধিকার (পাঠ-০২)
ভূমিকা:
জন্মনিবন্ধনের গুরুত্ব নিম্নরূপ:
- এটি একটি ব্যক্তির নাগরিকত্বের প্রমাণ। জন্মনিবন্ধন ছাড়া একজন ব্যক্তির নাগরিকত্ব প্রমাণ করা যায় না।
- এটি একটি ব্যক্তির পরিচয়ের প্রমাণ। জন্মনিবন্ধন ছাড়া একজন ব্যক্তির পরিচয় প্রমাণ করা যায় না।
- এটি একটি ব্যক্তির বয়সের প্রমাণ। জন্মনিবন্ধন ছাড়া একজন ব্যক্তির বয়স প্রমাণ করা যায় না।
- এটি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চাকরি, ভোটার, পাসপোর্ট, বিবাহ, ব্যাংকিং, সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়সহ নানা সুযোগ-সুবিধা লাভের জন্য প্রয়োজনীয়।
জন্মনিবন্ধন আইন:
বাংলাদেশে জন্মনিবন্ধন আইন ২০০৪ অনুসারে, একজন শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্মনিবন্ধন করতে হবে। জন্মনিবন্ধন করতে নিম্নলিখিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে:
- জন্মসনদ (যদি থাকে)
- পিতৃ-মাতৃর পরিচয়পত্র
- স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণপত্র
জন্মনিবন্ধন করতে নিম্নলিখিত ফি প্রদান করতে হবে:
- ৪৫ দিনের মধ্যে: বিনামূল্যে
- ৪৫ দিন পর থেকে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত: ২৫ টাকা
- ৫ বছর পর: ৫০ টাকা
জন্মনিবন্ধন সংশোধন:
জন্মনিবন্ধনে যদি কোনো ভুল থাকে, তাহলে তা সংশোধন করা যাবে। জন্মনিবন্ধন সংশোধনের জন্য নিম্নলিখিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে:
- জন্মনিবন্ধন সনদ
- ভুল সংশোধনের জন্য আবেদনপত্র
- ভুল সংশোধনের প্রমাণপত্র (যদি থাকে)
জন্মনিবন্ধন সংশোধনের জন্য নিম্নলিখিত ফি প্রদান করতে হবে:
- ভুল সংশোধনের জন্য: ২০০ টাকা
জন্মনিবন্ধনের সমস্যা:
বাংলাদেশে জন্মনিবন্ধনের সমস্যা নিম্নরূপ:
- জন্মনিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক হলেও অনেক মানুষ জন্মনিবন্ধন করেন না।
- জন্মনিবন্ধন করতে অনেক সময় এবং টাকা লাগে।
- জন্মনিবন্ধন সংশোধন করা কঠিন।
জন্মনিবন্ধনের উন্নতির জন্য করণীয়:
জন্মনিবন্ধনের উন্নতির জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে:
- জন্মনিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক করা।
- জন্মনিবন্ধন করতে সহজতর করা।
- জন্মনিবন্ধন সংশোধন করা সহজতর করা।
উপসংহার:
জন্মনিবন্ধন একটি গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক অধিকার। প্রত্যেক নাগরিকের জন্য জন্মনিবন্ধন করা আবশ্যক। সরকারকে জন্মনিবন্ধনকে সহজতর করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।