ইসলামে সুন্দর আচরণের গুরুত্ব (ইসলামিক পাঠ- ০১)



ইসলামে সুন্দর আচরণের গুরুত্ব

ভূমিকা:

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। এতে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনের সকল দিকনির্দেশনা রয়েছে। ইসলামে সুন্দর আচরণের গুরুত্ব অপরিসীম। সুন্দর আচরণের মাধ্যমেই একজন মুসলমান তার দ্বীনকে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারে।

সুন্দর আচরণের সংজ্ঞা:

সুন্দর আচরণ বলতে এমন আচরণকে বোঝায় যা সৎ, নৈতিক ও মানবিকতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। সুন্দর আচরণের মধ্যে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, সহানুভূতি, সহমর্মিতা, ক্ষমাশীলতা, সহযোগিতা, উদারতা ইত্যাদি গুণাবলী অন্তর্ভুক্ত।



ইসলামে সুন্দর আচরণের গুরুত্ব:

ইসলামে সুন্দর আচরণের গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহ তায়ালা সুন্দর আচরণের নির্দেশ দিয়েছেন এবং একে সৎকর্মের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন,

وَلَكُمْ فِي الْقِصَصِ عِبْرَةٌ لِمَنْ يَتَوَقَّى وَيَخْشَى


 

(আলে ইমরান ১৩৯)

অর্থ: তোমাদের জন্য এসব ঘটনায় উপদেশ রয়েছে, যারা ভয় করে এবং আল্লাহকে ভয় করে।

সুন্দর আচরণের প্রকারভেদ:

সুন্দর আচরণ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি আনুগত্য
  • মাতা-পিতার প্রতি সম্মান
  • সন্তানের প্রতি ভালোবাসা
  • ভাই-বোনের প্রতি সহযোগিতা
  • স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা ও সহানুভূতি
  • স্বামীর প্রতি অনুগত থাকা
  • বন্ধু-বান্ধব ও প্রতিবেশীর প্রতি সদয়তা
  • অভাবী ও দরিদ্রদের সাহায্য করা
  • জীব-জন্তুর প্রতি দয়া
  • সৎ ও নৈতিক আচরণ



সুন্দর আচরণের ফজিলত:

সুন্দর আচরণের অনেক ফজিলত রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ
  • দুনিয়ার সুখ-শান্তি
  • পরকালে জান্নাত লাভ
  • মানুষের ভালোবাসা ও সম্মান অর্জন
  • সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা

উপসংহার:

সুন্দর আচরণ একটি মহৎ গুণ। একজন মুসলমানের উচিত সর্বদা সুন্দর আচরণের অনুশীলন করা। সুন্দর আচরণের মাধ্যমেই একজন মুসলমান তার দ্বীনকে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারে এবং দুনিয়ার সুখ-শান্তি ও পরকালে জান্নাত লাভ করতে পারে।


ইসলামিক বিষয় আরো জানার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads2